Sunday, February 25, 2018

প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এইচএসসি’তে নতুন পদক্ষেপ

Hsc-Exam-2018

উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে দুটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সভা ডাকা হয়।


সভায় আগামী ২ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কিছু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, প্রতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার দুই সেট প্রশ্নপত্র তৈরি হলেও এবার তা বাড়িয়ে ৩-৪ সেট করা হবে। যাতে একটি বা দুটি সেট ফাঁস হলে তা বাতিল করে অন্য সেটে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়।

এছাড়া প্রশ্নপত্র বিতরণের সময় ডাবল প্যাকেট তৈরি করা হবে। পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের আগে কেউ প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে ফেললে যাতে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়। উল্লেখ্য, আগে প্যাকেট সিলগালার থাকতো, এখন সিলগালার প্যাকেটের ওপর আরেকটি প্যাকেট থাকবে।
এছাড়াও পরীক্ষা শুরুর আগে দেশের সব কলেজে অভিভাবক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে বির্তক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে কী কী করণীয় সেসব বিষয় নিয়ে কলেজে বির্তক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।


অন্যদিকে, এসএসসির পরীক্ষার মতোই এইচএসসি পরীক্ষাতেও ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্র প্রবেশ বাধ্যতামূলক ও কেন্দ্রের আশপাশে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হবে।

Tuesday, February 20, 2018

তেঁতুলিয়া থেকে হিমালয়

Tentulia-to-the-Himalayas

হিমালয় যে ভাবে উপভোগ করবেন

হিমালয়কন্যা হিসেবে পরিচিত দেশের সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। শুধু ইতিহাস আর ঐতিহ্যেই নয়, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জনপদের নাম পঞ্চগড়। শীতপ্রবণ এ জেলার তেঁতুলিয়া থেকে দেখা যায় বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা। চোখের কাছে ভেসে থাকা হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্লভ মায়াবী দৃশ্য যে কারোরই মন কেড়ে নেয়।

বাংলাদেশ-ভারতের বুক চিরে বয়ে যাওয়া সীমান্ত নদী মহানন্দায় সূর্যাস্ত দর্শন, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, সমতল ভূমিতে গড়ে ওঠা সবুজের নৈসর্গ চা বাগানসহ নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর পঞ্চগড়। এসবে যেন স্বর্গীয় অনুভূতি। মোগল আমলের স্থাপত্য মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বার আউলিয়ার মাজার, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান বদেশ্বরী মন্দির (সীতার ৫১ পীঠের এক পীঠ), পাথরসমৃদ্ধ রকস মিউজিয়াম, প্রাচীন ডাকবাংলো, পিকনিক কর্নার, কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেটের আনন্দ ধারা, শিশুপার্ক, ভূগর্ভস্থ ও নদী থেকে পাথর উত্তোলন দেখলে পর্যটকদের চোখ জুড়িয়ে যাবে। প্রচুর টাকা ব্যয় করে চীনের তিব্বত, নেপাল বা ভারতে গিয়ে নয়, ভাগ্য ভালো থাকলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকেই আপনি খালি চোখে দেখতে পাবেন হিমালয় পর্বত আর ভারতের কাঞ্চনজঙ্ঘা। গত দুই বছর থেকে তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে খালি চোখেই দেখা মিলছে হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘার। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ঋতুবৈচিত্র্যের শীতের মেঘমুক্ত নীলাকাশে ভেসে ওঠে তুষারশুভ্র হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘা।

দেশে প্রথমবারের মতো ফ্রিল্যান্সার কার্ড চালু

মাস্টারকার্ড ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার সার্ভিসসের (বেসিস) সহযোগিতায় দেশে প্রথমবারের মতো ‘স্বাধীন’ নামে একটি ফ্রিল্যান্সার কার্ড চালু করেছে। যাঁরা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাঁরা এখন থেকে এই কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি বৈধ উপায়ে তাঁদের আন্তর্জাতিক নিয়োগদাতাদের কাছ থেকে আয়ের অর্থ গ্রহণে সক্ষম হবেন। মাস্টারকার্ডের স্থানীয়ভাবে ইস্যু করা এই কার্ডের মাধ্যমে তাঁরা অত্যšত সহজে, নিরাপদে ও নির্বিঘে বৈদেশিক মুদ্রায় তাঁদের কাজের তথা আয়ের অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন। এই কার্ডের বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো, এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা তাঁদের আয়ের একটা বড় অংশ (৭০ শতাংশ পর্যন্ত) মার্কিন ডলারে রাখতে পারবেন, যা পরবর্তীতে অনলাইনে কেনাকাটা/ই-কমার্স সংক্রান্ত লেনদেনের প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৬৫০,০০০ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এর মধ্যে ৫০০,০০০ জনই কাজ করছেন মাসিক আয়ের ভিত্তিতে। ‘স্বাধীন’ কার্ডটি এই সম্প্রদায়কে নিরাপদ ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে আইনসিদ্ধ উপায়ে নিজেদের আয়ের অর্থ গ্রহণে স্বাধীনতা এনে দেবে যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি ডিজিটাল ক্ষমতাসম্পন্ন সম্প্রদায় তৈরী হবে।
‘স্বাধীন’ কার্ডটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস. এম. মনিরুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ রউফ চৌধুরী; প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আরফান আলী; বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির; মাস্টারকার্ড ইন্ডিয়ার কান্ট্রি করপোরেট অফিসার ও সাউথ এশিয়া ডিভিশন প্রেসিডেন্ট পোরুষ সিং; মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এটি মাস্টারকার্ড ও ব্যাংক এশিয়ার একটি চমৎকার উদ্যোগ। আমরা যখন বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তুলছি তখনই তারা এমন সময়োপযোগী উদ্যোগটি নিল, যা আমাদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভীষণ জরুরি। আমি আশা করি, ‘স্বাধীন’ নামের নতুন এই কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের শত-সহস্র ফ্রিল্যান্সার ভীষণ উপকৃত হবেন। কারণ এতদিন তাঁদেরকে বৈধ চ্যানেলের বাইরে গিয়ে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ আনতে বেগ পেতে হতো। যা-ই হোক, নতুন কার্ডটি চালুর ফলে এখন থেকে ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ আনার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সকল বাধা দূর হলো।’’
ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ রউফ চৌধুরী বলেন, “সমাজের সব মানুষকে উন্নত মানের সেবা প্রদান এবং জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও সম্প্রসারনে ব্যাংক এশিয়া সবসময় নতুন এবং প্রযুক্তি নির্ভর উদ্ভাবনী ব্যাংকিং প্রোডাক্ট প্রদান করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই ফ্রিল্যান্সার কার্ড উন্মোচন।”
ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আরফান আলী বলেন, “ফ্রিল্যান্সারদের অর্জিত অর্থ বৈধ উপায়ে দেশে আনার জন্য ফ্রিল্যান্সার কার্ড ‘স্বাধীন’ উন্মোচন করা হয়েছে। এর সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরে ব্যাংক এশিয়া আনন্দিত ও গর্বিত।”

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কাঠের ভবন

২০৪১ সালে ৩৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কাঠের ভবন তৈরি করবে জাপানের একটি কোম্পানি। সুমিতোমো ফরেস্ট্রি নামের ওই কোম্পানি বলছে, ৭০ তলাবিশিষ্ট ভবনটি তৈরিতে মাত্র ১০ শতাংশ স্টিল ব্যবহার করা হবে। বাকি পুরোটাই হবে কাঠের। ১ লাখ ৮০ হাজার কিউবিক মিটার দেশীয় কাঠের সমন্বয় করে ভবনটি নির্ণয় করা হবে।
বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টোকিওতে তৈরি এই ভবনে আট হাজার ঘর থাকবে। প্রতিটি ঘরে থাকবে গাছ আর বারান্দায় থাকবে পাতাবাহার।
জাপান ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। সারা বছরই ভূমিকম্প হয়। তিনতলা ভবনের চেয়ে ছোট স্থাপনা নির্মাণে কাঠ ব্যবহার করতে ২০১০ সালে জাপান সরকার আইন পাস করে। তবে ভূমিকম্পের বিষয়টি মাথায় রেখেই ভবনটি তৈরি হচ্ছে। বাঁকানো টিউব স্ট্রাকচারে এমনভাবে ভবনটি তৈরি করা হবে, যার ফলে জাপানের স্বাভাবিক ভূমিকম্পগুলো মোকাবিলা করতে পারবে এটি।
ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৬০ কোটি ডলার। প্রচলিত ভবন নির্মাণের চেয়ে এই খরচ প্রায় দ্বিগুণ। তবে কোম্পানিটি বলছে, ২০৪১ সালের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কাঠের ভবনটি রয়েছে ভ্যাঙ্কুভারে। শিক্ষার্থী বসবাসের জন্য নির্মিত ভবনটি ৫৩ মিটার উঁচু।

শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার

প্রযুক্তি আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আমরা খুব সহজেই এবং খুব কম সময়েই প্রযুক্তির কল্যাণে হাতের নাগালে পাচ্ছি সব তথ্য। আর শিশুদের ক্ষেত্রেও এখন তথ্য নির্ভরশীলতার জন্য প্রযুক্তি শেষ সম্বল। ক্লাসের পড়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্রজেক্টের কাজের জন্য তারা তথ্য জোগাড় করে প্রযুক্তির মাধ্যমে। এমনকি শিশুর একাকিত্বেরও সঙ্গী এখন প্রযুক্তি। বাইরে যখন খেলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই, তখন কম্পিউটারই তাদের সম্বল। তাছাড়া শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এটি নানাভাবে সাহায্য করে। সে তার পড়ার ক্ষেত্রে ট্যাবের সাহায্য পড়তে পারে। অক্ষর একা একা চিনতে পারে। খেলার ছলে বাসায় বসে নিজের পড়া শেষ করতে পারে। সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট শিশুকে সাহায্য করে নানাভাবে। বাইরের দেশগুলোয় কী হচ্ছে তা সে জানতে পারে। শিশুকে সামাজিক হয়ে উঠতে সাহায্য করে এই প্রযুক্তি। বর্তমান সময়টা যেহেতু প্রযুক্তিনির্ভর। তাই এর বাইরে থাকা সম্ভব নয়। তাই বলে প্রযুক্তি আমাদের গিলে খাবে, তাও কাম্য নয়। 
 
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমরা প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে চাই। তবে লক্ষ রাখতে হবে, প্রযুক্তি যেন আমাদের ব্যবহার না করে। বিশেষ করে শিশুদের প্রযুক্তি ব্যবহারে অভিভাবককে সচেতন হতে হবে। ব্যবহারের শুরু থেকে সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে। তাকে বোঝাতে হবে এটি শুধু খেলার মাধ্যম নয়। কিংবা জানার মাধ্যম। এজন্য অভিভাবকদেরও শিশুদের সামনে প্রযুক্তি ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের কোনোভাবেই প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে দেওয়া উচিত নয়। তাদের সামনে প্রযুক্তি পণ্য উন্মোচন করাও উচিত নয়। শিশুর বয়স তিন থেকে পাঁচ বছর হলে দৈনিক বড়জোর এক ঘণ্টা প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহার করতে দেওয়া যেতে পারে। 
 
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের চার ভাগের তিন ভাগ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। তাদের প্রায় অর্ধেকের মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট, ই-মেইল ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। তবে ইন্টারনেটে তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে অভিভাবকরা ব্যয়বহুল এবং বিনামূল্যের বেশ কিছু প্রযুক্তি বা অ্যাপও ব্যবহার করছেন।  অ্যাপেলের জনক স্টিভ জবস আইপ্যাড এবং আইফোনের যিনি স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি তার সন্তানদের আইপ্যাড ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।

গুগলের ভুল!

অনেকেই নিজেকে সবজান্তা শমশের ভাবে। কিন্তু আদতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সত্যি সত্যি সবজান্তা শমশের যদি কাউকে বলতেই হয় তাহলে গুগলকে বলা যায়। কারণ গুগলের জানা নেই এমন জিনিস নেই বললেই চলে। যে কোন জিনিসের ইতিহাস, অবস্থান সব কিছুই নিখুঁতভাবে বলে দিতে পারে গুগল। তাই ধারণা করা হয়, গুগলের কোন ভুল হয় না। তবে এবার সামান্য অঙ্কের হিসেবে মজার এক ভুল করে বসেছে গুগল।
 
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় শুরু হওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে খেলতে আসা নরওয়ের অলিম্পিক কমিটির পক্ষ থেকে অনলাইনে ১৫০০ ডিম কেনার অর্ডার দেয়া হয়েছিল। অনলাইনে দেয়া ঐ অর্ডার দেখে গুগল ভেবে বসে ১৫,০০০ ডিম কিনতে চাইছে নরওয়ের কমিটি। দোকান কর্তৃপক্ষকে ১৫০০০ ডিমের কথা জানিয়ে দেয় গুগল। ডিমগুলো নিয়ে যথাসময়ে হাজিরও হয়ে যায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। ডিমগুলো গাড়ি থেকে নামানোর সময় যেন শেষই হচ্ছিল না।
  বুঝতে পারে কোথাও কোন গণ্ডগোল হয়েছে। ঠিকমতো খোঁজ নিয়ে জানতে পারে আসলে তাদের কাছে ১৫ হাজার ডিমের অর্ডার গিয়েছিল বলে সেই পরিমাণ ডিম-ই সরবরাহ করেছে তারা। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার পর উভয় পক্ষ বুঝতে পারে ভুলটি আসলে গুগলের। পরে অবশ্য বাকী ১৩ হাজার ৫০০ ডিম ফেরত নিতে রাজি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।-ইউপিআই

ফোরজি সেবা পেতে যা করতে হবে


• সিম ফোরজি কি না, তা গ্রাহককে জানাবে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক
• টেলিটক এখনো এ ধরনের কোনো সেবা চালু করেনি








চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) টেলিযোগাযোগ সেবা চালু হচ্ছে সোমবার থেকে। কিন্তু কীভাবে জানবেন আপনার সিম ফোরজি কি না? এ সমস্যার সমাধান দিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। সিমটি ফোরজি কি না, সেটি বিনা মূল্যে জানা যাবে।

মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো কিছু নম্বর দিয়েছে, যা ডায়াল করলে এবং খুদে বার্তা পাঠাতে হবে। ফিরতি বার্তায় সংশ্লিষ্ট অপারেটরগুলো জানিয়ে দেবে যে আপনার সিমটি চতুর্থ প্রজন্মের কি না। এরই মধ্যে আবার মোবাইল অপারেটরগুলো ফোরজি সেবা পেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে গিয়ে সিম বদলে নেওয়ার জন্য বার্তা পাঠিয়েছে।
ফোরজি টেলিযোগাযোগ সেবা পেতে হলে ব্যবহারকারীকে যা করতে হবে—
ফোরজি সেবা পেতে হলে সিমকার্ড ও হ্যান্ডসেটটি এ প্রযুক্তির উপযোগী হতে হবে। সিমটি ফোরজি কি না, সেটি বিনা মূল্যে জানার সুযোগ আছে।
গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা মোবাইল ফোন থেকে *১২১*৩২৩২# ডায়াল করলেই ফিরতি বার্তায় সিমটি ফোরজি কি না, তা জানতে পারবেন। রবির গ্রাহকদের এ জন্য ডায়াল করতে হবে *১২৩*৪৪#। বাংলালিংকের গ্রাহকেরা মোবাইল ফোন থেকে 4G লিখে ৫০০০ নম্বরে খুদে বার্তা পাঠালে ফিরতি বার্তায় ফোরজি সিমের বিষয়ে তথ্য পাবেন। টেলিটক তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য এখনো এ ধরনের কোনো সেবা চালু করেনি।
সিমটি যদি ফোরজি না হয়, তাহলে তা সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে পরিবর্তন করে নিতে হবে। এ জন্য মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক) খরচ পড়বে ১১৫ টাকা। সিম পরিবর্তন করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ছবি ও আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন) দিতে হবে।
আপনার ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটটি ফোরজি উপযোগী কি না, সেটি আপনি নিজেই জানতে পারবেন। এ জন্য প্রথমে মোবাইল ফোনের ‘সেটিংস’ অপশনে যেতে হবে। সেখানে নেটওয়ার্ক অথবা ‘ওয়্যারলেস অ্যান্ড নেটওয়ার্কস’-এ গেলে দেখা যাবে ফোনটি ফোরজি প্রযুক্তির কি না। মোবাইল ফোন অপারেটরের সেবাকেন্দ্র ও বিভিন্ন স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের বিক্রয়কেন্দ্র থেকেও ফোরজি হ্যান্ডসেটের তথ্য জানা যাবে।